প্রকাশিত: Thu, May 18, 2023 4:52 PM আপডেট: Tue, Apr 29, 2025 11:13 PM
রাজধানীর বেশির ভাগ মার্কেটই অগ্নিঝুঁকিপূর্ণ
৬ সংস্থার সমন্বয়ে অভিযান শুরু মাসুদ আলম: জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এসব মার্কেটে চলছে কেনাবেচা। বিল্ডিং কোড মানা হয়নি। মার্কেটের ভেতরে-বাইরে হাঁটার জায়গাটুকু পর্যন্ত নেই। গা ঘেঁষে পথ চলতে হয় ক্রেতাদের। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এবং ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে ঝুঁকিপূর্ণ মার্কেট কর্তৃপক্ষকে বার বার সতর্ক করা হলেও কর্ণপাত করছে না কেউ। আবার এসব মার্কেট উচ্ছেদ করতে গেলেও বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে। বৃহস্পতিবার সিদ্দিকবাজারে রোজ মেরিনার্স নামে ছয়তলা মার্কেট-কাম-আবাসিক ভবনে অভিযান চালিয়ে অগ্নিঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে ফায়ার সার্ভিস।
ফায়ার সার্ভিসের ২০১৭ সালের একটি তালিকায় দেখা যায়, রাজধানীর ১ হাজার ৩০৫টি শপিংমল ও মার্কেট ঝুঁকিপূর্ণ। এর মধ্যে ৬২২টি ‘খুবই ঝুঁকিপূর্ণ’ এবং ৬৭৮টি ‘ঝুঁকিপূর্ণ’। চলতি বছরে ফায়ার সার্ভিস ৬০টি মার্কেট পরিদর্শন করে। এর মধ্যে সব কয়টি মার্কেট অগ্নিঝুঁকিপূর্ণ।
মার্কেট গুলোর মধ্যে গাউছিয়া মার্কেট, ফুলবাড়িয়া এলাকায় বরিশাল প্লাজা মার্কেট, টিকাটুলি এলাকায় রাজধানী ও নিউ রাজধানী সুপার মার্কেট, লালবাগ এলাকায় আলাউদ্দিন মার্কেট, চকবাজার এলাকায় শাকিল আনোয়ার টাওয়ার ও শহীদুল্লাহ মার্কেট এবং সদরঘাট এলাকায় শরীফ মার্কেট ও মিরপুর মুক্তিযোদ্ধা মার্কেট রয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, অধিকাংশ মার্কেট নকশাবহির্ভূত। মার্কেট গুলোতে পর্যাপ্ত পানির উৎস নেই। আগুন নির্বাপণ ব্যবস্থা পর্যাপ্ত নয়। অগ্নিনিরাপত্তা আইন মানার ক্ষেত্রে চরম অবহেলা দেখা গেছে। এ ছাড়াও অধিকাংশ মার্কেটের লোকজনের মধ্যে প্রাথমিকভাবে আগুন নেভানোর ধারণা নাই, সেখানে অগ্নিনিরাপত্তা মহড়াও হয় না। মার্কেটগুলোর সিড়িঁতে দোকান। এছাড়া মার্কেটের নন ইঞ্জিনিয়ারিং ভবন নির্মাণ, নকশাবহির্ভূত এক্সটেনশন, মার্কেটের দোকানে গাদাগাদি করে কার্টনে মালামাল রাখা, নিয়ম না মেনে মার্কেটের দোকানের ভেতর রাত্রিযাপন, ধূমপান করা, গ্যাস ব্যবহার করে খাবার রান্নাও করা হয়। এসব করণেই কারণেই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে।
ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক ( মেকানিক্যাল ট্রান্সপোর্ট অফিসার) মোহাম্মদ বজলুর রশিদ বলেন, সম্প্রতি পুরান ঢাকায় ৩৫টি মার্কেট পরিদর্শন করেছি। সব কয়টি মার্কেট ঝুঁকিপূর্ণ।
ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক (ঢাকা) দিনমনি শর্মা বলেন, বঙ্গবাজারে ৪-৫শ দোকান বরাদ্দ ছিলো। কিন্তু সেখানে ৩ হাজার ৪৮টি দোকান ছিলো। এনএসআই ও ডিজিএফআইকে সঙ্গে নিয়ে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আরও ৩টি সংস্থা যাথাক্রমে তিতাস, ওয়াসা ও বিদ্যুৎ বিভাগ। তারই ধারাবাহিকতায় সিদ্দিকবাজারে রোজ মেরিনার্সে অভিযান চালানো হয়েছে। বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন বলেন, আমরা চেষ্টা করছি বিডার মাধ্যমে অতিঝুঁকিপূর্ণ মার্কেটগুলো শনাক্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব
আরও সংবাদ
[১]ফেব্রুয়ারি মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৫৫ জন নিহত
[১]কলেজ ছাত্রী মুনিয়াকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন বসুন্ধরার এমডি আনভীরসহ ৮ জন
[১]সুপ্রিমকোর্টে মারামারি: আইনজীবী যুথিসহ চারজনের আগাম জামিন
[১]জবির বরখাস্ত সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের জামিন নামঞ্জুর
[১]আদম তমিজী হককে আরারও রিহ্যাব সেন্টারে পাঠালো ডিবি
[১]পদ্মা নদীকে বালু খেকোদের কবল হতে রক্ষা করতে কঠোর অবস্থানে নাজিরগঞ্জ নৌপুলিশ
[১]ফেব্রুয়ারি মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৫৫ জন নিহত
[১]কলেজ ছাত্রী মুনিয়াকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন বসুন্ধরার এমডি আনভীরসহ ৮ জন

[১]সুপ্রিমকোর্টে মারামারি: আইনজীবী যুথিসহ চারজনের আগাম জামিন

[১]জবির বরখাস্ত সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের জামিন নামঞ্জুর
